রামু উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শীতকালের আগমনে কৃষকেরা অগ্রীম শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে । সেই সবজি চাষ আভাস দিচ্ছে সফলতার। ডাকঁ দিচ্ছে দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তিকে মজবুত করার। কিছুদিন বাজারে মিলবে শীতের নানা সবজি। বিশেষ করে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো,বরবটি, শিম, লাউ, শসা, মুলাসহ শীতকালীন নানা সবজির দেখা পাওয়া যাবে বাজারে।
শীত মৌসুমকে সামনে রেখে প্রচন্ড গরম ও তাপপ্রবাহ সহ্য করে সবজি খেতে ব্যস্ত সময় পার করতেছেন রামু উপজেলার চরাঞ্চলের ১১ ইউনিয়নের লক্ষাধিক কৃষক। তাদের একটাই লক্ষ্য প্রতিবছরের মতো এ বছরেও সবজি চাষে সফলতা অর্জন। তাদের লক্ষ্য,শীতের শুরুতেই আগাম শীতকালীন ফুলকপি,বাঁধাকপি,টমেটো,বরবটি,শিম, মুলা, শসা, বেগুন, লাউ, ঢ্যাঁরসসহ নানা সবজি বাজারে তুলে বাড়তি মূল্য হাতে পাওয়া। তাই চারা পরিচর্যা, পোকার আক্রমণ ঠেকানোর জন্য কীটনাশক ছিটানো আর খেতের আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
উপজেলার দক্ষিন মিঠাছড়ি চরাঞ্চলের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর তারা শীতের সবজি আবাদে মনোযোগ দেন। সারা বছর ধান বা অন্য ফসল চাষ করে যে আয় হয়,তার চেয়ে বেশি হয় শীত মৌসুমের সবজি। তারা এ বছরও প্রতিবছরের ন্যায় ফসলের বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাধি।
কথা হয় রামুর কাউয়ারখোপ বইলতলী গ্রামের কৃষানি লাকী বেগমের সঙ্গে। সে জানালেন, আমি এ বছর লাউ, শশা, কপি, ফুলকপি, বাধাকপি চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত আমি কোন শাকসবজি বিক্রি করেনি। তবে আমি আশাবাধি খুব শীঘ্রই শীতকালীন সবজি ঘরে তুলতে পারব। তবে গত বছর শীতকালীন শাকসবজি চাষ করে লাভবান হয়েছিলাম। স্বামী ছাড়া ছেলেমেয়েদের নিয়ে খুব সুখে চলতেছে আমার সংসার।
সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, রামুর সকল ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রামে উৎপাদিত শীতকালীন সবজির চাষ করা হয়। তাদের উৎপাদিত শীতকালীন সবজি কক্সবাজার জেলার চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রাম, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। ফলে প্রতি বছর এসব গ্রামের কৃষক শীতকালীন সবজির ওপর ভরসা করেন।
রামু উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে জানা যায়, এবছর শীতকালীন মৌসুমে মসলাজাতীয় ও বিভিন্ন জাতের সবজিসহ ২১শ হেক্টর মতো চাষ হয়েছে, যার উৎপাদন দাড়াবে প্রায় ৩০হাজার মেট্রিকটন। কৃষকদের সহায়তার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানালেন,সরকারি ভাবে যদি কোনো বরাদ্দ আসে তাহলে আমরা সুষমবন্ঠনের মাধ্যমে কৃষকদের দিয়ে থাকি,আর এ অর্থ বছরে কিছু এনজিও সস্থা কৃষকদের সহায়তায় কাজ করেছে।