কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা একের পর এক স্থানীয় লোকদের নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করছে। কোনোভাবেই এমন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের থামানো যাচ্ছে না। এমন মানবতাহীন রোহিঙ্গাদের জুলুম অত্যাচার থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা উখিয়া টেকনাফের স্থানীয় জনগোষ্ঠী। এদেরকে যতদিন প্রত্যাবাসন করা হয়নি,ততদিন স্থানীয় জনগোষ্ঠী প্রশাসনিক নিরাপত্তা না পেলে, ধারাবাহিকভাবে একের পর এক খুন হতেই থাকবে বলে মনে করেন রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকার শিক্ষিত সমাজ ও সচেতন মহল। তাই স্থানীয় নাগরিকদের প্রশাসনিকভাবে নিরাপত্তা দেয়া অতি জরুরী হয়ে পড়েছে।
জানা যায়,৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল পৌনে ১১টারদিকে টেকনাফে ২৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প শালবাগান পাহাড় থেকে কুখ্যাত জকির, ধইল্যা, আয়াছ, আজিজ ও কবির ডাকাতের নেতৃত্বে অপরিচিত মুখ ৭/৮ জনের গ্রুপ দেখে পার্শ্ববর্তী এনামের দোকানে বসা নয়াপাড়ার আবুল বশরের পুত্র আব্দুস শুক্কুর (৩০) পালিয়ে চাচা আবুল হাশিমের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। তখন ডাকাত দলের সদস্যরা পেছন থেকে ধাওয়া করে চাচার বাড়ি হতে জোরপূর্বক টেনে-হেছড়ে বের করে মারধর করে নিয়ে যায়। পরে কুখ্যাত ডাকাত সর্দার জকিরের আস্তানায় শালবাগান আবুল হাশি মসজিদের পাশের এনামের দোকানের সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে মেরে ফেলে। খুনের পর ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পুরো এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে বীরদর্পে পাহাড়ের দিকে চলে যায়। নিহত ব্যক্তি দুই কন্যা সন্তানের জনক বলে জানা গেছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে নয়াপাড়া ক্যাম্প পুলিশের এপিবিএন সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য প্রেরণ করে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত্ম) আব্দুল আলিম জানান, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে স্থানীয় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। তিনি এই ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত একমাস পূর্বে হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার বাসিন্দা ড্রাইভার নুরুল হুদাকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গাড়ি ভাড়ার অজুহাতে নিয়ে যায়,পরে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করেছে। উক্ত ঘটনার কয়েকমাস আগে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজার ও ঝিমংখালীর দুই কৃষককে তাদের শস্য ক্ষেত থেকে তুলে নিয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো, আজও তাঁদের পরিবারের আহাজারি থেমেনি। এখনো পর্যন্ত রোহিঙ্গা অস্ত্রদারীদের হাতে নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব সরকার বহন করেননি।নিহতদের সন্তানদের চোখের পানি থামানোর কেউ নেই।এভাবে অসংখ্য ঘটনা ঘটিয়েছে এই রোহঙ্গা সন্ত্রাসীরা।এসব ঘটনা থেকে অবশ্যই প্রশাসনসহ পুরো কক্সবাজার জেলাবাসী উপলব্ধি করতে পেরেছে যে,রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় বসবাসরত উখিয়া টেকনাফবাসী নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। প্রতিনিয়ত এসব এলাকার মানুষ আতংকে বসবাস করে যাচ্ছে। উখিয়া টেকনাফের স্থানীয় সাংবাদিক মহল আরো বেশি নিত্তাহীনতায় রয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকেরা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশ করার কারণে অনেক সাংবাদিকেরা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের রোষানলে পড়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিউজ সংগ্রহকালে স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করাও সময়ের দাবী।