– চট্টগ্রাম মহানগর বায়েজিদ থানাধিন কুখ্যাত আব্দুল নবী লেদুর বিগত এবং বর্তমান জীবনের কুকর্মের আমলনামা কিছুদিন যাবৎ অনলাইন জুড়ে ভাসছে। এতে লেদুর বিরুদ্ধে চাঁপা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকার শতাধিক ভুক্তভুগীরা। ইতিমধ্যে দেশ ও আন্তর্জাতিকের বিভিন্ন মহল থেকে কসাই লেদুর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন নেটিজনেরা শুনুন বক্তব্য। জানা গেছে কুয়াইশ-অক্সিজেন সংযোগ সড়কটির মাঝ বরাবর দুরত্বে কয়েক একর জমি নিয়ে অনন্যা আবাসিক নামে একটি আবাসিক গড়তে জমি বরাদ্ধ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। শতাব্দীর শুরুতে এই আবাসিক প্রকল্পটির এলাকাটি ছিল প্রচন্ড ভয়ংকর এবং খুনি লেদুর গুন্ডা বাহিনীর জন্য অভয়ারণ্য নিরাপদ স্থান। ঔই সময়ে চট্টগ্রাম জুড়ে যতগুলো খুন-মার্ডার সংগঠিত হতো তার বেশির ভাগ লাশই নির্মাধিন অনন্য আবাসিকের নির্জন এলাকায় ফেলে যেত সন্ত্রাসীরা। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় বিগত এই দিনগুলিতে প্রতি সপ্তাহে দু একটা মরদেহ উদ্ধার করতো হাটহাজারি, বায়েজিদ বোস্তামি এবং চান্দগাঁও থানাপুলিশ। জানা যায় লেদুর কসাই বাহিনী কোথাও কোন বড় ধরনের অপকর্ম করলে, টাকার বস্তা খুলে দেয় লেদু। টাকার বিনিময় সকল প্রকার জঘন্যতম অপরাধ থেকে পার পেয়ে যায় এই কুখ্যাত কসাই। জানা গেছে লেদুর সকল প্রকার অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের যোগান দাতা তার বাহীনি ১০ থেকে ১৫ জন লোক অনুসন্ধানে উঠে আসছে। এছাড়া যারা বায়েজিদ এলাকায় যদি কেউ নতুন জায়গা-জমি ক্রয়করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করতে চাইলে লেদুর কসাই বাহিনীকে কমপক্ষে ৫০লক্ষ টাকা না দিলে ঔই জায়গাতে বাড়ি নিরর্মাণে লেদুর নেতৃত্বে বাঁধার সৃষ্ট করে লেদু বাহিনী। এবিষয়ে ২০ বছর যাবৎ প্রবাস জীবন কাটিয়ে ফটিকছড়ির জাহাঙ্গীর এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমার জীবনের সমসÍ অর্জন দিয়ে অক্সিজেন এলাকায় একটি বাড়ি নির্মাণ করতে একখন্ড জমি ক্রয় করি। কিন্ত লেদুকে ৫০লক্ষ টাকা না দিলে আমার জমিতে আমি বাড়ি নির্মান করতে পারব না। এসময় তিনি আরও বলেন, রৌফাবাদ বেড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন জমি খন্ড লেদু বাহিনীর অবৈধ আগ্নায় অস্ত্র ঠেকিয়ে দখল করে রেখেছে। আজও আমার ক্রয়কৃত জমিতে কাজ করতে দিচ্ছেনা লেদুর বাহিনী ।এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোন লাভ হয়নি বলে জানান ভুক্তভুগী। গোপন সূত্রে জানা গেছে লেদুর কাছে থাকা দুটি অবৈধ আগ্নায় অস্ত্র লেদুর ড্রাইবার ব্যবহার করছে বলে একাধিক সুত্রে যানা যায়। লেদুর দির্ঘ্য দিনের জোড়জুলুম অত্যাচারে এখন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসি। এতদিন নীরবে নিভৃত্বে সহ্য করলেও লেদুর কসাইগিরির বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। যখনই দেখছেন দেশের সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বড় বড় দুর্নীতিবাজ রাঘব বোয়াল গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন তবেই লেদুর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন ভুক্তভুগিরা। এদিকে কসাই লেদুর সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে সিটিজি ক্রাইম টিভির চেয়ারম্যান আজগর আলী মানিকের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করার জন্য গোপন বৈঠক করে কসাই লেদু। এছাড়া কসাই লেদু নকল পুলিশ দিয়ে আজগর আলী মানিককে ধরে এনে হত্যা করার পরিকল্পনাও প্রকাশ করে সূত্রটি। এছাড়া ২০১০ সালে বিদ্যুত অফিসের এক কর্মচারিকে হত্যার উদ্দেশ্য তার অফিসে গিয়ে মারধোর করে এবং ব্যাপক ভাংচুর চালায় লেদু এবং তার দল। এসময় রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থাই নিতে পারেনি ওই অফিসের লোকজন। সব মিলিয়ে লেদুর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে এলাকার জনগণ মাঠে নেমেছে দুদক। অক্সিজেন এলাকার সরকারি শীতল ঝর্ণা খালটি দখল এবং ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন যে ভবনের নাম দেয়া হলো হাজী ভবন যার মালিক হচ্ছে কসাই লেদু। এছাড়া লেদুর মালিকানাধিন আরও তিনটি অবৈধ বহুতল ভবনের সন্ধ্যান পাওয়া গেছে। জামাত বিএনপির যৌথ মিলনে সৃষ্ট হল জাতীয় পার্টি, সেই জাতীয় পার্টির ভয়ংকর ক্যাডার কসাই লেদু এখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন আওয়ামীলীগের কাঁধে ভর করে রঙ্গীন হাওয়ায় পাল উড়িয়ে খুন, ধ্বর্ষণ করে নির্দিধায় পার পেয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন মহল থেকে চাঁদাবাজি করে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। কসাই লেদুর সকল প্রকার অপকমের্র কবল থেকে পরিত্রাণ চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন এলাকাবাসি।