চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ সরওয়ার কামালকে কতিপয় স্থানীয় কূচক্রী মহল অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্নভাবে চাপে ফেলে হয়রানি করে কলাউজান ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের আওতাধীন সরকারী যায়গা অবৈধ দখলে নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় গত ৭ জুলাই বুধবার ডাঃ সরওয়ার কামাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অফিসে মাসিক সমন্বয় সভায় গেলে একটি কূচক্রী মহল কলাউজান ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সাংবাদিক পরিচয়ে লোক এনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে কেন্দ্রে ডাক্তার আসেনা, সেবা দেয়া হয়না, সরকারি জায়গা ভাড়া দেয় বলে নানা অনিয়মের উল্লেখ করে অখ্যাত অনলাইন মিডিয়ায় ভূয়া সংবাদ প্রচার করে। খবর পেয়ে গত ১০ জুলাই শনিবার এ ব্যাপারে খুঁজ নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সালাহ উদ্দিন ও ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ আবদুর রহিম, ও সচেতন এলাকাবাসী সরেজমিনে গিয়ে সাধারন মানুষ ও সেবা নিতে আসা রোগীদের সাথে কথা বলেন।
উপস্থিত সকলেই বলেন, ডাঃ সরওয়ার কামাল এলাকার ছেলে ও কেন্দ্রের অফিসার হিসাবে নিয়মিত সেবা দিচ্ছেন।করোনা মহামারীর শুরু থেকে আজ অবধি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজ কর্মস্থলে তিনি নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ।তিনি একজন মানবিক চিকিৎসক। অসহায় অস্বচ্ছল পরিবারের লোকজনকে আন্তরিকভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা অর্জন করেছেন । খোঁজ নিয়ে দেখা যায় তার ভালো কর্ম ও সেবার কারনে তিনি লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তর থেকে শ্রেষ্ট ইউনিয়ন উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের সার্টিফিকেট ও সম্মাননা ক্রেস্ট পেয়েছেন।
কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, ইউপি সদস্য সালাহ উদ্দিন সিকদার ও ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম এর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন ডাঃ সরওয়ার কামাল তার কর্মস্থলে দীর্ঘদিন যাবত নিয়মিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছেন । এ যাবৎ আমরা তার অনিয়ম বা দূর্নীতির কোন অভিযোগ পাইনি।
স্থানীয় পশ্চিম কলাউজন শাহ্ মজিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ডা. সরওয়ার কামাল উক্ত হাসপাতালে যােগদানের পর থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছেন।
আমরা সব সময় সেবা পেয়ে আসছি। অতীতে এ রকম সেবা সাধারণ মানুষ ভোগ করতে পারেননি। তারপরেও যারা সমালোচনা বা মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করে আমি এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাঃ সরওয়ার কামাল জানান, নিজ গ্রামের মানুষদের মাঝে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শতভাগ চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। এ সেবা প্রদান করতে গিয়ে আমাকে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।
সম্প্রতি কতিপয় কূচক্রী মহল অসৎ উদ্দেশ্যে অনলাইন নিউজ পাের্টালে আমার নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভিত্তিহীন নিউজ প্রকাশ করে সরকারী জায়গা অবৈধ দখলে নিতে চাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আমি গত ৭ জুলাই বুধবার লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিটিং এ গেলে, আমার অনুপস্থিতিতে কতিপয় অসাধু লোক অখ্যাত অনলাইন মিডিয়ার লোক এনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করে আমাকে চাপে ফেলতে চায়।
এ ব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে,আশাকরি শ্রীঘ্রই এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করোনা মহামারীর কারণে সারাদেশে লকডাউন সত্বেও সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক চিকিৎসক হিসাবে অসহায়, দুস্থ সাধারণ মানুষেরা যাতে কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হন সে লক্ষ্যে আমাদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সকল স্টাফদের সাথে নিয়ে আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে কাজ করেছি। কিন্তু এলাকার চিহ্নিত কূচক্রী মহল আমাকে হয়রানি করার মানসে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে চাপে ফেলতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য সরকারী জায়গা অবৈধ দখল করে ব্যাক্তিস্বার্থে ব্যবহার করা।তারা বিভিন্ন সময় প.প. কেন্দ্রের জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলা, গাছ কাটা, গাছের ফল চুরি করাসহ নানা অনৈতিক কাজ করে আসছে। যেটা খুবই দুঃখ জনক। এ ব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।