লকডাউনে শ্রমিক সংকট ও অর্থ সংকটের কারণে জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না লোহাগাড়া কলাউজান ইউনিয়নের হাজীর পাড়া গ্রামের কৃষক নুরুল হক। ক্ষেতেই ধান নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছিল। খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের উপ স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শফিউল উমাম সেখানে ছুটে যান।
ছাত্রলীগের ১৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে
শফিউল উমাম সোমবার সকালে থেকে কৃষক নুরুল হকের জমির ধান কেটে দেন। হঠাৎ রাজপথের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কৃষকের ক্ষেতের ধান কাটতে দেখে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সচেতনমহলসহ স্থানীয়রা।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পাকা ধান কেটে দেয়ায় কৃষক নুরুল হক অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছেন। লকডাউনের মধ্যে ধান কাটার উপযুক্ত হয়। লকডাউনে শ্রমিক সংকটের কারণে পাকাধান কাটতে পারছিলাম না। এছাড়াও এলাকায় যে শ্রমিক পাওয়া যায় তাদের মজুরি খুব বেশি।
ক্ষেতের ধান পাকার পরও তা কাটতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির শঙ্কায় ছিলাম। আমার এমন অসহায়ত্বের কথা শুনে ছাত্রলীগ নেতা শফিউল উমাম ভাই আরও নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে এসে টাকা-পয়সা ছাড়াই আমার ক্ষেতের ধান কেটে দেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে আমার ধান কাটতে সাহায্য করেছেন তা কখনও ভুলব না।
ছাত্রলীগ নেতা শফিউল উমাম বলেন, ধান কাটার প্রতি মৌসুমেই বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা লোহাগাড়ায় ধান কাটতে আসেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঘোষিত লকডাউনে অন্য এলাকার শ্রমিক এখানে আসতে পারেননি। এদিকে কৃষক নুরুল হকের জমির পাকা ধান নিয়ে কাটতে না পেরে বিপাকে পড়েন। কৃষক নুরুল হকের অসহায়ত্বের কথা শুনে,
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এ.কে.এম.আসিফুর রহমার চৌধুরী নির্দেশনায় ছাত্রলীগের স্থানীয়
আকিব, মোবারক, রিয়াজ,
মিজান ফয়সাল হাসান, বাবু, সাকিব, সাজ্জাদ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তার ধান কেটে দিয়েছি। এ সংকটকালে প্রয়োজনে অন্যদের ধানও কেটে ঘরে তুলে দেবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।