বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপকারভোগীদের কৃষি উপকরণ বিতরণ করলেন এনজিও সংস্থা “মুক্তি “ পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবন্ধীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ! দেশে ৪ কোটি মানুষের চলছে দুর্দিন,ঋণ করেই চলছে ৭৪ভাগ পরিবার কোস্টগার্ডের ধাওয়ায় ৭ লাখ ইয়াবা পানিতে ফেলে পালাল পাচারকারীরা ‘ইশ্-মার্ট বাংলাদেশ’ প্রভাষক শাহীন সরওয়ার টানটান উত্তেজনায় শেষ হল শেখ রাসেল গোল্ডকাপ;বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিগণ টেকনাফে মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ পরবর্তী নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ টেকনাফে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অভাবনীয় সফলতায় মেম্বার এনামের প্রতিষ্ঠিত বালিকা মাদ্রাসা টেকনাফে “অক্সফাম” কর্তৃক ভাউচার প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ

শহরে ইমারত আইন লংঘন করেই চলছে ভবন নির্মাণ |বাংলাদেশ দিগন্ত

মুহাম্মদ তাহের নঈম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৬১১ বার পঠিত

পর্যটন শহর কক্সবাজারও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় সরকারী নিয়ম নীতি তথা
ইমারত আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করেই চলছে ভবন,কটেজ সহ বহুতল আবাসিক ভবন
নির্মাণ কাজ। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নজরদারির অভাবে বেশির ভাগ
ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে অপরিকল্পিতভাবে। নির্মানাধীন এবং নির্মিত বেশির
ভাগ ভবন, মার্কেটে ইমারত আইন লংঘনের চরম অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট মার্কেট
মালিকদের বিরুদ্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মার্কেট মালিকরা ভবন নির্মাণে
অনুমোদন নিলেও পরে দেখা গেছে তাঁর উল্টো। এ অবস্থায় নির্মিত ভবন থেকে পড়ে
গিয়ে ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে। শহরের বাসিন্দাদের মতে,
অপরিকল্পিত ভাবে যার যার ইচ্ছামাফিক ভবন বা ইমারত নর্মিাণ করা হলে বিশে^র
দরবারে উচু করে দাঁড়িয়ে থাকা কক্সবাজারের চরম ভাবমুর্তি নষ্ট হবার
পাশাপাশি একদিন অপরিকল্পিত নগরীতে পরিণত হবে কক্সবাজার শহর। শহরের কয়কেটি
পয়েণ্টে পরিদশনে গিয়ে দেখা যায়,
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও কোন প্রকার ছাড়পত্র না নিয়ে কক্সবাজার
পৌর শহরের নুনিয়াছড়া, হোটেল-মোটেল জোন,ফরেষ্ট অফিস রোড,লাইট হাউস সহ
শহরের দক্ষিণ কলাতলী ৮ তলা বিশিষ্ট একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবনের নির্মাণ
কাজ চলছে। নিয়ম অনুযায়ী বহুতল ভবন নির্মাণে কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ
(কউক) এর অনুমোদন, পরিবেশ ও ফায়ার সার্ভিসের এর ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক হলেও
তার কোনটাই নেই নির্মাণাধীন ভবনের মালিকদের। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,কলাতলীর
বহুতল বাণিজ্যিক ভবনটি নির্মাণ করছেন স্থানীয় জনৈক প্রবাসী।  স্থানীয়দের
দাবি, মেরিন ড্রাইভ সড়কের আশেপাশে ৩০০ মিটারের উপরে ভবন নির্মানে
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই। ( কউক) এর মাস্টার প্লান
অনুযায়ী উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে এমন সিদ্ধান্ত। এ কারনে ওই এলাকায়
অনেকেই বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। তবে অভিযোগ রয়েছে,
করোনার লকডাউন চলাকালে বেশির ভাগ কাজ তাড়াহুড়া করে চালিয়ে যায় ভবন
মালিকরা। অনেকে পলিথিন দিয়ে ঘেরাও করে ও কাজ চালায়। ইদানিং কউকের অভিযান
না থাকায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণের হিড়িক
পড়েছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এইসব ভবন নির্মাণ করছে অসাধু মালিকরা।
অনুমোদন ছাড়াই ভবন তৈরির ফলে আগামীতে ঝুঁকিপূর্ণ শহরে পরিনত হবে শহর
এলাকা। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের(কউক) এলাকায় ভবন নির্মাণে অনুমোদনের
দায়িত্ব কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা কউকের আওতাধীন। কউকের লোকবল
সঙ্কটে দায়িত্বে নিয়োজিত কর্তাব্যক্তিদের উদাসীনতা ও অবৈধ সুযোগ সুবিধা
নেয়ার প্রবণতা থাকার কারণে দিনদিন অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণে জনগণ
উৎসাহিত হচ্ছে। অনেকেই সাবেক পৌরসভার অবৈধ প্লান নিয়ে ভবন নির্মাণ করছে
বলে ও খবর পাওয়া গেছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কিছু নামধারী কনসালট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার যারা
একটি ভবনের নকশা তৈরির কাজ করেন তারাই নাকি কউকের কিছু কর্তা
ব্যক্তিদেরকে মেনেজ করেই ভবন নির্মাণ কাজ করে থাকেন। স্বচেতন মহলের মতে,
অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ভবন সমুহের বিরুদ্ধে  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকের এ
পর্যন্ত কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সুযোগ সন্ধানী মালিকরা অবৈধ
স্থাপনা নির্মাণে উৎসাহ পাচ্ছে।  এ বিষয়ে কথা বলতে কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. অব. ফোরকান আহাম্মদের সাথে যোগাযোগ করা
হলে তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে খুব শিঘ্রই অভিযান চালানো হবে বলে
জানান। তিনি কক্সবাজার কে পরিকল্পিত নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে সকলের
সহযোগিতাও কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs
error: Content is protected !!