কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা লেছুয়াপ্রাংয়ে বাসিন্দা মৃত জাফর আলমের পুত্র হেলাল উদ্দীনের ভাগিনিকে অপহরণের পর ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করছে, অবশেষে হত্যা করবে বলে অভিযোগ এনে কক্সবাজার (জেলা জজ)৩নং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন।আসামীরা হলো,টেকনাফের লেঙ্গুর বিলের বাসিন্দা আলতাফ মিয়া (২৮), ফিরোজ মিয়া (৩২), সিরাজ মিয়া (২৫)এরা তিন জনই নাজির হোসেনের সন্তান,ছৈয়দ আকবরের পুত্র নাজির হোসেন সহ চারজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। নালিশী সূত্রে জানা যায়,অভিযুক্তরা নারী লোভী,নারী নির্যাতন কারী,দুশ্চরিত্র,মাদক ব্যবসায়ী ও প্রতিনিয়ত মাদক সেবন কারী।অভিযুক্ত আলতাফ মিয়া ৩০ই মে ২০১৫ইং তারিখে অপহৃত আছমা আক্তারের বড় বোন ফাতেমা খাতুনকে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক রেজি:যুক্ত নিকাহ করে।তাদের বিবাহের পরে সংসারে একজন শিশু সন্তানও জন্ম হয়।উল্লেখ্য যে,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে করা মামলার ২নং স্বাক্ষীর বাড়ি থেকে আলতাফ মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে বিগত ৩০ই সেপ্টেম্বর সুকৌশলে আছমা আক্তারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়,এবং অপকারীরা আছমা আক্তারকে বড় বোনে স্বামী আলতাফ মিয়ার সাথে জোরপূর্ক বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। বিয়েতে সে রাজি না হলে প্রতিনিয়ত তাকে জোরপূর্ক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন করে হত্যার চেষ্টা করছে বলে সংবাদকর্মীকে অভিযোগ করেছেন ভিকটিমের পরিবার।পরিবার সূত্রে আরো জানা যায়,১নং আসামী আলতাফ মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি টাকার মালিক হয়ে,এখন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্তে হতে দ্বিধাবোধ করছে না বলে জানান। ভাগিনিকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মামা হেলাল উদ্দীন স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে, থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দিলে, অবশেষে ভাগিনির পক্ষে বাদী হয়ে উরোক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে অপহৃত আছমাকে উদ্ধার ও ন্যায় বিচার চেয়ে আদালতে শরণাপন্না হয়ে মামলা দায়ের করছেন।এবিষয়ে নাজির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে,তার ছেলে বড় বোন ছেড়ে দিয়ে ছোট বোনকে বিয়ে করবে বলে জানায়।