রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপকারভোগীদের কৃষি উপকরণ বিতরণ করলেন এনজিও সংস্থা “মুক্তি “ পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবন্ধীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ! দেশে ৪ কোটি মানুষের চলছে দুর্দিন,ঋণ করেই চলছে ৭৪ভাগ পরিবার কোস্টগার্ডের ধাওয়ায় ৭ লাখ ইয়াবা পানিতে ফেলে পালাল পাচারকারীরা ‘ইশ্-মার্ট বাংলাদেশ’ প্রভাষক শাহীন সরওয়ার টানটান উত্তেজনায় শেষ হল শেখ রাসেল গোল্ডকাপ;বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিগণ টেকনাফে মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ পরবর্তী নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ টেকনাফে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অভাবনীয় সফলতায় মেম্বার এনামের প্রতিষ্ঠিত বালিকা মাদ্রাসা টেকনাফে “অক্সফাম” কর্তৃক ভাউচার প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ

সব অপকর্মের হোতা চট্টগ্রামের লেদু,প্রশাসনের নজরদারি জরুরী |বাংলাদেশ দিগন্ত

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০
  • ৭৩৭ বার পঠিত

রাস্তার ফুটপাত থেকে দৈনিক ২০-৩০টাকা করে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে চাঁদা নেয় এই কসাই লেদু। শুধু তাই নয় এক মেয়েকে দিয়ে দীর্ঘদিন নারী ব্যবসা মদ-বিয়ার থেকে শুরু করে সব রকমের মাদকদ্রব্য ব্যাবসা করায়। এই নারীর কথিত স্বামী শহিদুলও তার ভয়ংকর থাবা থেকে রেহায় পাইনি। প্রায় প্রত্যেকদিন তার স্ত্রীকে সন্ধ্যা হলে কসাই লেদুর কাছে পাঠিয়ে দিতে হয় তাকে করুণ দৃষ্টিতে অসহায়ের মতো নিরবে শৌর্য করে। এই ঘৃনীত ঘটনার প্রতিবাদ করায় কসাই লেদু তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে শহীদুলকেও তার অফিসে নিয়েওশারীরিক ভাবে ব্যাপক মারধর করে। আর প্রতিদিন কসাই লেদুর ভোগের পর স্ত্রীকে নিয়ে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বাসায় চলে যায় শহীদুল। কসাই লেদুর কালো হাত যার ওপর পরেছে সে আর রেহায় পাইনি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করে একের পর এক কোটি টাকার পাপের সম্রাজ্য তৈরি করেছে এই কসায় লেদু। গতো তিন বছর আগে এই কসাই লেদুর হাত থেকে রেহাই পাইনি চুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্তীরা চুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাস আটকিয়ে হুমকি প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা করে এই কসাই লেদু। সে ঘোষণা দিয়েছিলো চুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি অক্সিজেন দিয়ে চলাচল করতে পারবে না। এছাড়াও তার পাপের কোন সীমা নেই দিনের পর দিন তার পাপ বেড়েই চলেছে। অনুসন্ধান করলে পাওয়া যাবে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় তার নামে হুলিয়া জারি ছিলো। হত্যা,খুন,ধর্ষণ লুটপাট কোন ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। তার প্রতিটি সম্পদ জোর দখল করা। প্রকাশ্যে তার দূর্নীতি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দূর্নীতি দমন কমিশন ও গোয়েন্দা সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কসাই লেদুর অত্যাচার থেকে বায়েজিদ এলাকাবাসীকে মুক্ত করে জনগনকে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আকুল আবেদন করছি। আর তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে ভবিষ্যতে বাংলার মাটিতে আর কোন কসাই লেদু যেন সৃষ্টি হতে না পারে সেদিকে সুদৃষ্টি দেওয়ায় অনুরোধ করছি।

২. শীতল ঝর্ণা খাল দখল করে বেসরকারি হাসপাতাল, ভবন

শীতল ঝর্ণা খালের অবৈধ স্থাপনার কারণে কয়েক লক্ষ মানুষকে বর্ষায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। প্রবল বৃষ্টির সময় পানি প্রবাহ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়ে অক্সিজেন এলাকাসহ পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের বিশাল অংশ পানিতে তলিয়ে যায়।এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জালালাবাদ পাহাড় থেকে শীতলঝর্ণা খালের উৎপত্তি এটি কেডিএস গার্মেন্টেসের পাশ দিয়ে হাসনি বনস্পতির সামনে দিয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে পাঠানপাড়া ও হাজীপাড়া হয়ে ডালিপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বামুনশাহী খালের সাথে মিশে কর্ণফুলীতে গিয়ে পড়েছে। বিএস জরিপ অনুসারে শীতলঝর্ণার প্রস্থ গড়ে ৪০ ফুট। গভীরতা গড়ে ১০ ফুট।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, অক্সিজেন থেকে খালের প্রশস্ততা মোটামুটি ঠিক রয়েছে। পাঠানপাড়া এলাকায় খাল দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে একটি বেসরকারি হাসপাতাল। খালটি পরিণত হয়েছে সরু নালায়। এরপর আরো কয়েকটি ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবন নির্মিত হয়েছে খালের উপর। খালের অস্তিত্বই বিলীন হয়ে গেছে। এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে সহায়তা করেছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এতে বর্ষায় পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে পুরো এলাকা পানিতে ডুবে যায়। লক্ষ লক্ষ মানুষকে পোহাতে হয় দুর্ভোগ।
পাঁচলাইশ ওয়ার্ড কাউন্সিলর কফিল উদ্দিন খান জানান, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় চট্টগ্রাম সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ খালের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু দেরিতে উদ্যোগ নেয়ায় তা সফল হয়নি। এখনো সেনানিবাসে উচ্ছেদেও নথিটি রয়েছে। তিনি বলেন, গতবছর বর্ষার পূর্বে ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শীতল ঝর্ণার ডিজিটাল সার্ভে করা হয়। তখন বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে খাল খনন করা হয়। কিন্তু সানরাইজ পাসপাতালসহ কয়েকটি বহুতল ভবন ভাঙ্গা যায়নি ম্যাজিস্ট্রেটের অভাবে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরো জানান, শীতল ঝর্ণার সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য সিটি মেয়রকে চিঠি প্রদান করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হলে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। বিষয়টি এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ হাজার হাজার মানুষকে অবৈধ ব্যক্তি স্বার্থের বলী হতে দেয়া যায় না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs
error: Content is protected !!