২০১৯ সালের শেষের দিকে ১৬’ই ডিসেম্বর দিন রাত আনুমানিক ০৯:৩০ মিনিটের দিকে উপজেলা পাইলট স্কুলের মাঠে ডিসেম্বরের অনুষ্ঠান চলাকালীন সাংবাদিক মোঃ ইয়াছিন আরফাতসহ সাংবাদিক মামুন রহস্যজনক ভাবে টেকনাফ থানা পুলিশ কর্তৃক আটক হয়।যেখানে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সাইফুল ইসলাম সাইফ, বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ, বিভিন্ন প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গাদের উপস্থিতিতে আটক করা হয় সাংবাদিক ইয়াছিন আরফাত ও সাংবাদিক সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ মামুনকে। আটকের ঘন্টা বেশ কিছুক্ষণ পরে রহস্যজনক ভাবে সাংবাদিক মামুনকে ছেড়ে দিলেও ওসি প্রদীপের ষড়যন্ত্রের জাল থেকে রেহাই পাইনি অসহায়,নিরহ সাংবাদিক ইয়াছিন আরফাত।ইয়াছিন আরফাতকে ১ রাত টানা শারীরিক নির্যাতন অপমান,নিপিড়ন,বিভিন্নভাবে জুলুম করার পরে,অবশেষে ওসি প্রদীপের চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারায়, বন্দুক যুদ্ধ’র নামে মিথ্যা মামলায় সাংবাদিক মোঃ ইয়াছিন আরফাতকে আসামী করে কারাগারে পাঠিয়েছে। পরের দিন ০৪:০০ দিকে যেটা সচেতন মহল সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তখন অনেক সাংবাদিক ব্যক্তিগত ফেইসবুক থেকে স্ট্যাটাস দিলেও ওসি প্রদীপের নির্যাতনের ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাইনি টেকনাফের সাংবাদিকরা। কারণ, তাদেরও হয়তো সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার ও সাংবাদিক ইয়াছিন আরফাতের মতো মিথ্যা মামলার পাশাপাশি নির্যাতন জুলুমের শিকার হতে হতো। জানা যায়, মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে টানা চার মাস কারাবন্দী জীবন পার করেন নির্যাতিত সাংবাদিক মোঃ ইয়াছিন আরফাত। কারণ জামিন চাওয়ার মতো কোন টাকা পয়সার তেমন সমর্থ ছিলো না তার অসহায় পরিবারের। পরে অনেক কষ্টের বিনিময়ে কোন রকম বিভিন্ন খাতে ঋণ নিয়ে উক্ত মিথ্যা মামলায় মহামান্য আদালত থেকে জামিন লাভ করে আবার ফিরে আসেন নিজের পুরোনো পেশা সাংবাদিকতায়। জামিনে বের হয়ে কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার ওসি প্রদীপ ও উক্ত শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কালো নজর পড়লো কারা নির্যাতিত সাংবাদিক ইয়াছিন আরফাতসহ তার পরিবারের উপর। তারই সূত্র ধরে আবার আরেক মিথ্যা মাডাল মামলায় শিকার হতে হয় নির্যাতিত সাংবাদিন ইয়াছিন আরফাতও তার পরিবারকে। শুধু এতে শেষ নয়। ওসি প্রদীপের বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে মামলা থেকে অব্যাহত দিবে বলেও একাদিক বার ফোন আসে সাংবাদিক মোঃ ইয়াছিন আরফাতের মুঠোফোনে, যা তার কাছে এখনো রেকর্ড করা আছে বলে জানান। এমনকি বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে থাকে মিথ্যা মামলার পাশাপাশি ক্রসফায়ারের হুমকিও দেওয়া হয়েছে এমন উক্তিও ব্যক্ত করেন তিনি। যেনো সে তার জীবনে ঘটে যাওয়া নির্মম কাহিনি প্রতিবাদের মাধ্যমে বিচার চেয়ে কোন মিডিয়াতে তুলে না ধরে। এক পর্যায়ে এভাবেই মিথ্যা মামলার বুজা কাদে নিয়ে হুমকি ধমকি মাঝে আতংকে দিন কাটতে থাকে অসহায় ও সঠিক বিচার না পাওয়া সাংবাদিক মোঃ ইয়াছিন আরফাতসহ তার পরিবার। জানা যায়, একি এলাকার ওসি প্রদীপের একটা বড় সোর্স সিন্ডিকেট ছিলো সাংবাদিক মোঃ ইয়াছিন আরফাত উক্ত শক্তিশালী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তাদের বিভিন্ন অপকর্ম তুলে ধরে একাদিক বার নিউজ করাতে কিছুটা হলেও টনক নড়ে সেই সিন্ডিকেটের। যার ফলে সাংবাদিক মোঃ ইয়াছিন আরফাতসহ তার পরিবার আজ ওসি প্রদীপের মিথ্যা মামলা ও হয়রানির শিকার। এক কথায় বললে চলে,ওসি প্রদীপের নির্দেশনায় উক্ত শক্তিশালী সিন্ডিকেটের জিম্মি ছিলো অসহায় সাংবাদিক মোঃ ইয়াছিন আরফাতসহ তার পরিবার। প্রতিকার চেয়ে সাংবাদিক মোঃ ইয়াছিন আরফাতও তার পরিবার বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন অসহায় নিপীড়ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন,সেখানে আর ভয় কিসের বিচার আমরা পাবোই ইনশাআল্লাহ। তখন নির্যাতিত সাংবাদিক মোঃ আরফাতও তার জীবনের উপর ঘটে যাওয়া অনৈতিক কর্মকান্ড ও মিথ্যা মামলার বিষয়টি মিডিয়ার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানো উচিত বলে মনে করেই, গণমাধ্যমের কাছে এসব তথ্য তুলে ধরেছেন।