নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় জমি সক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে মা-ছেলেকে একসাথে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার করে স্হানীয় চিহ্নিত সন্রাসী মিজান বাহিনি। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ অক্টোবর উপজেলার চর জুবিলী ইউনিয়নের উওর কচ্ছপিয়া গ্রামে।এই ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ ২ জনকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এজাহারে আরো বিস্তারিত জানাযায় ঘটনার রাতে উওর কচ্ছপিয়া গ্রামে মোক্তার মিয়ার বাড়ির মোক্তারের মেয়ে নৃুর নাহার বেগম (৫৫) ও তার ছেলে খাদেমুল বাসার ফারুক (৩৮) কে ঘুমন্ত অবস্হায় হত্যা করার উদ্দেশ্য পরিকল্পিত ভাবে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সন্রাসী মিজান বাহিনি তার সদস্যরা।এজাহার থেকে জানাযায় কামরুন নাহার (৫০) স্বামী ইব্রাহিম খলিল বাচ্চু স্ত্রীর সহায়তায় গত ২৩।১০।২০ ইং রোজ শুক্রবার রাত আনুমানিক ১ঃ৩০ মিনিটে সন্রাসী মিজান ৪/৫ জন মুখোশধারীকে নিয়ে ধারালো দা,চুরি,ব্লেড,লোহার রড ভিকটিম নুর নাহার বেগম এবং তার ছেলেকে হত্যাচেষ্টা করেন।সন্রাসী মিজান গৃহবধু নুরনাহার বেগমকে ব্লেড দিয়ে শরীলে বিভিন্ন স্হানে যখম,রড দিয়ে হাতে পায়ে আঘাত করে থেতলিয়ে রক্তাক্ত করেন ।ভুক্তভোগীদের মৃত মনে করে রেখে যায় এবং তার ছেলেকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।মা-ছেলের কোন সাড়া না পেয়ে সকালে প্রতিবেশীরা ভুক্তভোগীর আত্নীয় স্বজন ও থানাতে খবর দেন।চরজব্বার থানার সাবেক অফিসার ইনসার্জ সাহেদ উদ্দিন ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন এবং আহত ব্যাক্তিদের উন্নত চিকিৎসার নির্দেশ প্রধান করেন।প্রতিবেশীদের সহায়তায় অর্ধ মৃত ব্যাক্তিদের সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালের কত্যর্বরত ডাক্তার মা-ছেলের শারিরিক অবস্হার অবনতি দেখিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।তৎক্ষনাৎ প্রাথমিক চিকিৎসা করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাথায় জখম মারাত্মক হওয়ার ঢাকায় উন্নত চিকিৎসা জন্য ঢাকা মেডিকেল নিতে বলেন।ঢাকা মেডিকেল নেওয়ার পর তার মাথায় কয়েকটা সেলাই করা হয়।মা-ছেলেকে অবস্হার অবনতি দেখলে ঢাকা মেডিকেল বোর্ড ডাক্তারের সিন্ধান্তে আই সিওতে ভর্তি করাতে বলেন।ঢাকা মেডিকেল আই সিও বেড খালি না পাওয়ায় ভুক্তভোগীর শারিরিক অবস্হা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বেসরকারি রেমিডিন কেয়ার হাসপাতাল আই সিওতে ভর্তি করানো হয়।দীর্ঘ দিন আই সিওতে চিকিৎসাধীন থাকার কারণে থানাতে কোন মামলা করার সুযোগ হয়নি ভুক্তভোগী পরিবারের।ধীরে ধীরে আই সিওতে চিকিৎসা নিয়ে স্মৃতি একটু ফিরে আসলে বিস্তারিত লোমহর্ষক ঘটনা পরিবারের সদস্যদের নিকট বর্ণনা করলে গত ৭/১০/২০ ইং তারিখে ভুক্তভোগীর মেয়ে তাসলিমা বেগম (২৮) স্বামী আবদুল কাদের সাং মধ্য চরবাটা, ২ নং চরবাটা, সুবর্ণচর নোয়াখালী।চরজব্বার থানাতে এজাহার দায়ের করেন যার ধারা নংঃ ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৫০৬ ,যা পরবর্তী নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হয়।চরজব্বার থানার মামলা নংঃ ০৫।মামলার দায়েরের পর চরজব্বার থানা পুলিশ সাঁড়াশি অভিযানে ২ জনকে গ্রেফতার করেন।গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো মোঃ মিজানুর রহমান প্রকাশ মিজান (৩৫) পিতা মোঃ ইসমাইল মাষ্টার ও কামরুন নাহার (৫০) স্বামী ইব্রাহিম খলিল বাচ্চু উভয় খুনির সাং পশ্চিম চর জুবিলী, ওয়ার্ড ০৫,চরজুবিলী ইউপি,সুবর্ণচর নোয়াখালী।ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায় বিচারের আশায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে।