বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপকারভোগীদের কৃষি উপকরণ বিতরণ করলেন এনজিও সংস্থা “মুক্তি “ পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবন্ধীকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ! দেশে ৪ কোটি মানুষের চলছে দুর্দিন,ঋণ করেই চলছে ৭৪ভাগ পরিবার কোস্টগার্ডের ধাওয়ায় ৭ লাখ ইয়াবা পানিতে ফেলে পালাল পাচারকারীরা ‘ইশ্-মার্ট বাংলাদেশ’ প্রভাষক শাহীন সরওয়ার টানটান উত্তেজনায় শেষ হল শেখ রাসেল গোল্ডকাপ;বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিগণ টেকনাফে মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ পরবর্তী নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ টেকনাফে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অভাবনীয় সফলতায় মেম্বার এনামের প্রতিষ্ঠিত বালিকা মাদ্রাসা টেকনাফে “অক্সফাম” কর্তৃক ভাউচার প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ

স্বাক্ষর জাল করে কৃষকের টাকা তুলে নেন কৃষি কর্মকর্তা! বাংলাদেশ দিগন্ত

যুগান্তর
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৫০৯ বার পঠিত

স্বাক্ষর জাল করে বরাদ্দকৃত টাকাসহ সরকারের বিভিন্ন কৃষিপণ্য কৃষকের নামে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার ফুলগাজীর কৃষক নুরুল হক, আবুলুল কাদের, শহীদুল, মহি উদ্দিন ও জামাল উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন কৃষকের অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলায় কৃষি উন্নয়ন এবং লেবুজাতীয় ফল চাষের দুটি বিশেষ প্রকল্পের অধীনে ৪৬০ কৃষক রয়েছেন। এর অনুকূলে চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগী কৃষক হিসেবে সাড়ে ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

৯০টি লেবুজাতীয় ফল বাগানের জন্য সাইট্রাস প্রকল্পে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এই টাকায় বিভিন্ন ধরনের সার ও বীজ দেয়ার কথা থাকলেও তা এখন পর্যন্ত কোনো চাষি কিছুই পাননি। এর পর তারা দেখতে পান প্রকল্পের সুবিধাভোগীর তালিকায় কৃষকদের নামের পাশে স্বাক্ষর দেয়া রয়েছে। অথচ সেই স্বাক্ষর তাদের নয় বলে দাবি করছেন, যা দেখে হতবাক হয়েছেন দরিদ্র কৃষকরা।

রহিম নামে এক কৃষক বলেন, আমার ও অপর একজন কৃষকের নামের পাশে যে স্বাক্ষর দেখেছি, তা আমাদের নয়। আমার এ স্বাক্ষর জাল। আমরা দেখেছি, স্বাক্ষর শিটে যত সুন্দর করে আমাদের অনেকের স্বাক্ষর দেয়া আছে, তা আমরা দিইনি। এত সুন্দর করে আমরা নাম লিখতে পারি না। এই প্রকল্পের আওতায় কিছু পরিত্যক্ত গাছের চারা ছাড়া আর কোনোরকম সুবিধা আমাদের দেয়া হয়নি।

কাগজ-কলমে সুবিধা পাওয়া মাল্টা চাষি নাজিম উদ্দিন বলেন, মাল্টাগাছের প্রতিটির জন্য ৬০ টাকা বরাদ্দ হলেও কৃষকদের ১০-১৫ টাকার নিন্মমানের চারা সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে এর বেশিরভাগ গাছ মরে গেছে; যেগুলো বড় হচ্ছে সেগুলোরও ফলন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।

কৃষক আবুল কালাম যুগান্তরকে জানান, এর আগে সাইট্রাস প্রকল্পের সুবিধাভোগী ৯০ কৃষককে প্রায় সোয়া ৫ লাখ টাকার চুন-সার আর পরিবহন বিলসহ সরঞ্জামাদি দেয়া হয়নি।

দরবারপুর ইউনিয়নের কৃষক আবুল কালাম জানান, তিনি দুদিন ট্রেনিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন। এতে সকালে নাস্তা ছাড়া আর কোনো টাকা-পয়সা দেয়া হয়নি। অথচ তার নামে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ১৩৫০ টাকা ভাতা উত্তোলন দেখানো হয়েছে।

আনন্দপুর ইউনিয়নের নাজিম উদ্দিন মজুমদার জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ১০-১৫ টাকা দামের নিম্নমানের মাল্টা চারা দেয়া হয়েছে, যার কোনো দৃশ্যমান নেই। যদিও বরাদ্দে প্রতি চারা বাবদ ৬০ টাকা ক্রয় ধরা হয়েছে এবং চুন, সার, আন্তঃপরিচর্যা ও মালচিং বাবদ অর্থ ধরা হলেও তার কোনো কিছুই কৃষককে দেয়া হয়নি।

গত ২৩ নভেম্বর মাঠ দিবসের একটি সভাকে চার দিনের সভা দেখিয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।

এদিকে ফুলগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত এসব অভিযোগ আদৌ সঠিক নয়।

তিনি যুগান্তরকে জানান, অফিসিয়াল কাগজের শিটে চাষিরা স্বাক্ষর দিয়েছেন। এখন আরও কয়েকটি উপকরণ যোগ করে বিল করে ওই টাকা তোলা হবে। এর পর তাদের মধ্যে ওই টাকা বিতরণ করা হবে।

জানতে চাইলে ফেনী জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, এর আগে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নজরে আসেনি।

তিনি বলেন, বিষয়টি প্রয়োজনীয় তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলীম জানান, কৃষকদের কৃষি উপকরণ বিতরণের অনিয়মের কথা কিছুটা তিনি শুনেছেন। কৃষকদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs
error: Content is protected !!