টেকনাফ উপজেলার ১নং হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের নির্মাণাধীন ভবন ‘ইউনিয়ন
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের”ঠিকাদারের নিকট চাঁদা দাবী করায়
উত্তম মাধ্যমের শিকার হয়েছেন হোয়াইক্যং পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শক
হাছান আলী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জর পাড়ার পরিবার
কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত আছেন। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত মানুষের সেবায় স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ভবন নির্মাণে
‘সারগাম ট্রেডার্স’ নামক এক ঠিকাদারী প্রতিষ্টান কে দায়িত্ব দেয়। উক্ত
ঠিকাদারের পক্ষে খাঁন জাহান আলী বিল্ডার্স লি. নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্টান
স্থানীয় চেয়ারম্যান এর সার্বিক সহযোগিতায় ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। গত
১৭মার্চ কাজের সূচনা করে।করোনার লকডাউনে কাজ উঠাতে ব্যর্থ হলেও
সাম্প্রতিক কালে জোরালো কাজ শুরু করে। প্রথম তলার কাজ শেষে গতকাল ২১
আগষ্ট ২য় তলার ছাদ ঢালায়ের কাজ শুরুর প্রাক্কালে স্থানীয় হোয়াইক্যং
পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শক মোঃ হাছান আলী ঠিকাদার মো,আব্দুল আলীর
নিকট চাঁদা দাবী করে। ইতো পূর্বে পরিদর্শক মোঃ হাছান ১৭ আগষ্ট ঠিকাদার
মো,আব্দুলআলী কে চাাঁদা না দেয়ায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে চরম নাজেহাল করে।
উক্ত ঘটনার সূত্রপাত ধরে গতকাল (২১.০৮.২০২০) পরিবার
কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শক হাছান আলী প্রকাশ্যে খরচের টাকার নামে আবারো
চাঁদা দাবী করে। বিষয়টি জানা জানি হলে স্থানীয় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে হাছান
নাজেহাল করে গনধুলাই দেয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় কোন রকম
রক্ষা পায়। জানা যায়, স্থানিয় চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ
আনোয়ারী কাজটি তদারকির জন্য স্থানিয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবুল কাদের,সিরাজুল
মোস্তফা ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শক মোঃ হাছান আলী কে দায়িত্ব
দেন। ঠিকাদার মো,আব্দুলআলী প্রতিবেদক কে জানায়,কারো বিরুদ্ধে কোন আপত্তি
নেই। কিন্ত পরিদর্শক মোঃ হাছান আলী প্রতি নিয়ত আমাকে অবৈধ আবদার করে। এতে
আমি সাড়া না দিলে বা অপারগতা প্রকাশ করলে আমাকে গাল মন্দ করে। স্থানিয়
প্রত্যক্ষদর্শী গফুর মিয়া,মিস্ত্রি হাছান,জিয়াউররহমান, আয়াজ উদ্দি,আলতার
হোছন,নুরুল আমিন,নুর মুহাম্মদ জানায়, ২য় তলার ছাদ ঢালায়ের সময় পরিদর্শক
হাছান প্রকাশ্যে চাঁদা দাবী করলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ বিষয়ে পরিবার
কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শক মোঃ হাছান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ
করলে তিনি চাঁদাবাজির কথা অস্বীকার করে জানায়,ঠিকাদার কাজে অনিয়ম ও
পুরাতন বিল্ডিং এর নষ্ট ইট সহ কাজে মান সম্মত না করায় আমি বাধা দিলে আমার
উপর তার লেলিয়ে দেয়া বাহিনী আক্রমন করে।এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে
স্থানিয় হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ
আনোয়ারী জানান,ঘটনার বিষয়টি আমি ও শুনেছি। চাঁদা দাবী করার বিষয় সত্য নয়।
আমি হাছান কে ডেকে এনেছি ছাদ ঢালাইয়ের কাজ পরিদর্শনের জন্য। তবে বিষয়টি
আমি মিমাংসা করে দেব বলেও তিনি জানান।#