টেকনাফের হোয়াইক্যং উনছিপ্রাংয়ের বাসিন্দা আব্দুর রশিদের বাড়ির পাশে রোহিঙ্গা এক জঙ্গী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য আব্দুল হামিদ বাড়ি ক্রয় করে রোহিঙ্গা জঙ্গী সংগঠনের আস্তানা বানিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে ।যেখানে প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গা জঙ্গী সংগঠনের সক্রিয় সদস্যরা আসা যাওয়া ও গোপন মিটিং করে এবং এটা তাদের গোপন মিটিংয়ের নিরাপদ স্থান বলে অভিযোগ করেছেন,পার্শ্ববর্তী বাড়ির স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাদেরের পুত্র আবদুর রশিদ ।এমন পরিস্থিতি দেখে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্রপক্রিয়া দেখা দিয়েছে এবং বিভিন্ন ধরণের কল্পনা-জল্পনা ও নানান ধরণের প্রশ্ন ওঠেছে।এই বাড়ির রোহিঙ্গা ক্রেতা হামিদ স্ত্রীকে রেখে,সে বিদেশে চলে যায়,সে বিদেশ থেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করে বলে অভিযোগ করেছেন আব্দুর রশিদ।দিবারাত্রি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আনাগোনা দেখে জঙ্গী নেতা হামিদের স্ত্রী’র কাছে স্থানীয় আব্দুর রশিদ জানতে চাইলে, তাকে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে,বিভিন্ন ধরণের হুমকি দমকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখিছে,এমনকি প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে বলে জানান,আব্দুর রশিদ।
রোহিঙ্গা হামিদের জঙ্গী বাহিনি ও তার স্ত্রীর অত্যচারে অতিষ্ট হয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রশিদ আইনি সহযোগিতা চেয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ক্যাম্প থেকে বের হওয়ার কোনো ধরণের নিয়মনীতি না থাকলেও,এই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করে এবং গ্রামের মধ্যে বাড়ি ক্রয় করে তাদের নিরাপদ আস্তানা কিভাবে গড়ে তুলেছে,এমন প্রশ্ন জনমনে।সরেজমিনে গিয়ে
জানতে চাইলে স্থানীয়রা বলেন,ওমর আব্বাছ আলী নামে এক পুরাতন রোহিঙ্গা এই বাড়িতে থাকতো,পরে সে টাকা পয়সার বিনিময়ে ন্যাশনাল আইডি কার্ড বানিয়ে বাংলাদেশী নাগরিগ বনে যায়।পরে সে উনছিপ্রাং রাস্তার পাশে জায়গা কিনে বাড়ি করেছে,তার পুরাতন বাড়িটা রোহিঙ্গা জঙ্গী নেতা হামিদকে বিক্রি করে দেয়।যার সুবাদে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের লিডার হামিদ এই বাড়ি ক্রয় করে জঙ্গীবাদ- সন্ত্রাসবাদের গোপন মিটিংসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের নিরাপদ আস্তানা বানানোর সুযোগ পেয়েছে,এমন মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এবিষয়ে হোয়াইক্যং ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল বাছেতের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে,এলাকার লোকজনের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে, পরে জানাবে বলেন। ফোনে জানতে চাইলে হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন,এব্যাপারে আমি তো কিছুই জানি না,আমাকে কেউ বলেনি,কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।উক্ত বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি ব্যস্ত আছেন,রাত্রে ফোন দেয়ার অনুরোধ জানান,তিনি ব্যস্ত থাকায় পূর্ণ বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
রোহিঙ্গাদের অত্যচারে অতিষ্ট আব্দুর রশিদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন