টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যাং বিজিবি চেকপোস্ট সংলগ্ন অবাধে চলছে পাহাড়-টিলা কাটা। পাহাড়-টিলা কাটা বন্ধে প্রশাসনের উদ্যোগ না থাকায় ‘পাহাড়-টিলা খেকোদের’ আগ্রাসন বেড়েই চলেছে। এছাড়া টেকনাফ উপজেলায় বিভিন্ন জায়গায় টিলা কাটা চলছে। কখনও কখনও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের চোখের সামনেই ধ্বংস করা হচ্ছে পাহাড় টিলা।
পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে অবাধে পাহাড়-টিলা কাটা চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে নীরব।এতে ধ্বংস হচ্ছে পাহাড়ের সবুজ বনাঞ্চল। বন্যপ্রাণীরা হারাচ্ছে আবাসস্থল। যার কারণে অনেক সময় বাঘ,বানরসহ নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী লোকালয়ে চলে আসে এবং প্রাণ হারায়। অতিবর্ষণে ভূমি ধসে ঘটছে হতাহতের ঘটনাও।সংশ্লিষ্টদের মতে,প্রতিবছর বিশ্ব পরিবেশ দিবস এলেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক ঘণ্টার শোভাযাত্রা ও আলোচনা ছাড়া পরিবেশ রক্ষা সংক্রান্ত আর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয় না। যার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতার সৃষ্টি হয়নি।
টেকনাফ উপজেলার পাহাড়ি হোয়াইক্যাং বিজিবি চেকপোস্ট সংলগ্ন, রংক্যইম,কুতুবদিয়া পাড়া, উনছিপ্রাং বড়খিল বিভিন্ন গ্রামে প্রকাশ্যে পাহাড় টিলা কাটা হচ্ছে। এসব পাহাড়-টিলা ধ্বংস করা হচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায়।পাহাড়-টিলার মাটি বহনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে শতাধিক ট্রাক্টর। এদের অধিকাংশেরই কাগজপত্র নেই। ট্রাক্টরের সাহায্যে মাটি বহন করায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক ও উপজেলা সদরের শহরের প্রধান সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,হোয়াইক্যাং বাসিন্দা
মরহুম মদন আলী ছেলে জকির ওরফে ডাকাত জকির পাহাড়ের মাটি কাটাচ্ছেন। জকির কাউকে তোয়াক্কা না করেই মাটিগুলো কাটাচ্ছেন দিনদুপুরে।
সেই বিষয়ে জকির থেকে জানতে চাইলে তিনি
বলেন পাহাড়ি-টিলার মাটি কেটে জমি ভরাটের বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতরের কোনও অনুমতিনিয়েছেন কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,কারও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন
আছে বলে আমার জানা নেই।আপনাকে কত টাকা দিতে হবে বলে টাকার অফার দে জকির।
জকির আরো বলে দুই টাকা দামের পেপার আমার কিছু করতে পারবেনা। ঐ রকম সাংবাদিক ও পত্রিকা আমার পায়ের নিছে থাকে।