বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১০:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কোস্টগার্ডের ধাওয়ায় ৭ লাখ ইয়াবা পানিতে ফেলে পালাল পাচারকারীরা ‘ইশ্-মার্ট বাংলাদেশ’ প্রভাষক শাহীন সরওয়ার টানটান উত্তেজনায় শেষ হল শেখ রাসেল গোল্ডকাপ;বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিগণ টেকনাফে মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পের উপকারভোগীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ পরবর্তী নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ টেকনাফে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অভাবনীয় সফলতায় মেম্বার এনামের প্রতিষ্ঠিত বালিকা মাদ্রাসা টেকনাফে “অক্সফাম” কর্তৃক ভাউচার প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ “মুক্তি” কক্সবাজার কর্তৃক উপকারভোগীদের মাঝে কৃষি উপকরণ ও নগদ টাকা বিতরণ “বাংলাদেশ সমতা ঐক্য পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী শাখার তৃতীয় মেয়াদে কমিটি গঠিত “মানবাধিকার দিবস” উপলক্ষে টেকনাফে কোস্ট ফাউন্ডেশনের সেমিনার

২৪ বিয়ের পর সাধ মিটেছে তার |বাংলাদেশ দিগন্ত

দিগন্ত ডেক্স:
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৫৭১ বার পঠিত

২৪ বিয়ের পর সাধ মিটেছে তার

জালাল ফকির
পেশায় রিকশাচালক জালাল ফকির, বয়স ৬০ ছুঁই ছুঁই। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া বাজার ও আশপাশে রিকশা চালিয়ে আয়-রোজগার করেন।

তার শ্রমিক জীবনের সোনালি সময় কেটেছে ঢাকায় রিকশা চালিয়ে। কুড়ি বছর বয়সে পারিবারিক সিদ্ধান্তে বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমান তিনি। প্রথম সন্তান প্রসবের সময় মারা যান স্ত্রী রেনু বেগম।

কিছুদিন পর নুরজাহান নামের আরেক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। কিছুদিন পর রোগাক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীও মারা যান। প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী দুই সন্তান রেখে মারা যাওয়ায় মানসিকভাবে অনেকটা ভেঙে পড়েন তিনি।

একপর্যায়ে আবার বিয়ে করেন জালাল ফকির। কিছুদিন পর তৃতীয় স্ত্রী মারা না গেলেও তাদের সংসার ভেঙে যায়। এরপর আবার বিয়ে করেন তিনি। এভাবে একে একে ২৪ জন নারীকে বিয়ে করেন জালাল ফকির।

প্রত্যেক নারীর সঙ্গেই কিছুদিন সংসার করার পর তাদের দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়ে সম্পর্ক ভেঙে যায়। তার ২৪তম স্ত্রী পিয়ারা বেগমের সঙ্গে প্রায় ৪ বছর আগে বিচ্ছেদ হয়। রংপুরের মেয়ে পিয়ারা বেগম ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করতেন।

পিয়ারা বেগমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর জালাল ফকির সিদ্ধান্ত নেন তিনি আর বিয়ে করবেন না। এরপর ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। বর্তমানে তিনি উত্তর কাছিপাড়া গ্রামে বড় ছেলে জামাল হোসেনের সঙ্গে আছেন। তার বড় ছেলে জামাল ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।

২৪ নারীকে বিয়ে করার প্রতিক্রিয়ায় জালাল ফকির যুগান্তরকে বলেন, ২৪ জনের মধ্যে রূপে-গুণে আমার প্রথম স্ত্রীই সেরা ছিল। তার মতো আর কারও সঙ্গে সংসার করে শান্তি পাইনি। এখন ছেলের সংসারে আমার খুব ভালো সময় কাটছে।

ভবিষ্যতে আর বিয়ে করার ইচ্ছা আছে কিনা- এমন প্রশ্নে জালাল ফকির বলেন,অনেক হয়েছে আর বিয়ে করব না। বিয়ের সাধ মিটে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs
error: Content is protected !!