গ্রামপুলিশের চাকরি কাল হলো জাহাঙ্গীরের

- আপডেট সময় : ০৩:৫২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ৬৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ দিগন্ত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের কালিপুরা গ্রামের বাসিন্দা জাহার মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। গত ৮ বছর ধরে গ্রাম পুলিশের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি সহ গরু চুরি,মাদক সেবন, ইভটিজিং, ব্ল্যাকমেইল সহ নানান অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী। এছাড়াও তার বিচারের দাবীতে স্থানীয় ডাকবাংলো সড়কে মানববন্ধনের ঘটনাও ঘটেছে।
এসব বিষয় জানতে নবীনগরের কয়েকজন গনমাধ্যমকর্মী ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের প্রত্যান্ত অঞ্চল কালীপুরা গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন, গ্রামপুলিশ জাহাঙ্গিরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের আলোকে কালীপুরা প্রাইমারি স্কুলের বেশ কয়েকবারের সভাপতি প্রবীন এই মুরব্বি জানান, কয়েকদিন আগে মহিলাগঠিত বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তাছাড়া গরুচুরি,মাদক বিক্রি, চাদাবাজী এসব অভিযোগ অসত্য।
বয়স্ক এক মহিলা জানায়,তিনি এই গ্রামের মেয়ে, এই গ্রামের বউ,তার দেখামতে জাহাঙ্গীর এসব অন্যায়কাজে জড়িত নয়। তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাসাতে এসব করা হচ্ছে।
আব্দুল কাদির নামে প্রবীন আরেক মুরব্বির ভাষ্যমতে তিনিও কোনদিন গরুচুরি,মাদক বিক্রি, কিংবা জোরজবরি করে টাকা আদায় করতে দেখেননি।
এলাকাবাসীর অনেকেই জানেননা অতিতে কিংবা বর্তমানে জাহাঙ্গীরের বিষয়ে চুরির রেকর্ড আছে। এছাড়াও সে মাদক সেবন বা বিক্রি করে এমন কথাও তাদের অজানা।
তাহলে কারা এলাকাবাসীর পক্ষে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে? তবে কারা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নারী কেলেঙ্কারি ইস্যু নিয়ে তার বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে! জাহাঙ্গীরের সাথে তাদের শত্রুতা কিসের কেন শিকল দিয়ে সারারাত বেঁধে রাখা হল জাহাঙ্গীরকে। কেন ইব্রাহিমপুর হতে জাফরপুর চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত শিকল দিয়ে বাধা অবস্থায় টেনে নিয়ে যাওয়া হল জাহাঙ্গীরকে এসব প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গির জানায়।
গত ১৭ আগষ্ট রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় তিনি ঐ ওয়াড মেম্বার মুক্তার মিয়া গংদের ষড়যন্ত্রের শিকার। ওইদিন রাতে তিনি ছিদ্দিক মিয়া নামের এক ব্যক্তির ফোন পেয়ে বাড়িতে আসার পথে এলাকার কয়েকজন টানাহেচড়া করে ওই মহিলার সাথে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আটকে রাখেন। ঘটনার দিন রাতে আমি ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নংওয়াডের মেম্বার জসিম উদ্দিন রাত ১০-৩০ মিনিটের সময় আমাকে ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিউটিতে নিয়োজিত করে যান।এবং আমি ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদে ডিউটিরত অবস্থায় ছিলাম। এবং এই ঘটনার দিন মহিলার স্বামী মোঃ আহাদ মিয়া বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। এসব ঘটনায় মহিলার স্বামী ভাসুররা জড়িত। আমি এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে চেয়েছিলাম। এবং থানার মাধ্যমে আমি আমাকে যে ফোন করে একে নেওয়া হয়েছে তার প্রমাণের জন্য তাদের মোবাইল রেকর্ড সংগ্রহ করি মোবাইল রেকটে তারা যারা জড়িত প্রত্যেকের মোবাইল নেটওয়ার্ক একই জায়গায় দেখা যাচ্ছে।যার প্রমাণপত্র হিসেবে আমি আমার মোবাইল রেকর্ড সংবাদ কর্মীদের কাছে হস্তান্তর করি। পরে আমাদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতেএবং গণ্যমান্য সাহেব সর্দারদের মাধ্যমে আমার বিষয়টি সুরাহা করে এটির সমাধান করা হয়।
এলাকার অনেকেই বলছেন যে মহিলার সাথে তার অনৈতিক সম্পকের অভিযোগ পাওয়া গেছে আপনারা তার বক্তব্যে নিলেই বিষয়টি স্পষ্ট হতে পারবেন। কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী ওই বাড়িতে গেলে মহিলার স্বামী সাংবাদিকদের দেখে ইশারায় অন্যবাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ভিডিও করতে মানা করেন।
কালিপুরা গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মিয়া চান,তার বিরুদ্ধ আনিত অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। মিথ্যে অভিযোগে তাকে যেনো ফাসানো না হয়।
জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের জানায়,তার বিরুদ্ধে যারা এসব মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তার পরিবারের মানসম্মান নিয়ে খেলা করছে একদিন আল্লাহ তাদের বিচার করবেন।
ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মুছা জানান, জাহাঙ্গীরের সাথে মহিলাঘটিত বিষয়ের ঘটনাটি সামাজিকভাবে সমাধান করা হয়েছে।