ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবীনগরে বসুন্ধরা এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১৯ শত টাকায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০০:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩ ২০৩ বার পড়া হয়েছে

 

হেলাল উদ্দিন নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর বাজারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপিজি) বসুন্ধরা কোম্পানির গ্যাসের বর্তমানে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে খোদ বসুন্ধরা কোম্পানিই গ্যাসের সিলিন্ডার সরবরাহ করছে না বলে জানান স্থানীয় ডিলার মেসার্স মাহাদি এন্টারপ্রাইজ। ফলে সীমিত আকারে সরবরাহ অব্যাহত থাকায় কোম্পানির কাছে খুচরা গ্রাহকরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন।

জানাযায়, উপজেলা শহরের অধিকাংশ গ্যাসের দোকানেই মিলছে না বসুন্ধরা কোম্পানির গ্যাসের সিলিন্ডার। দুই-একটি দোকানে মিললেও ১২ কেজি সিলিন্ডারের সরকার নির্ধারিত মূল্য ১১৪১ টাকা হলেও বেশ কিছু দোকানে ১৭শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করছে।

অধিকাংশ পরিবারেই বসুন্ধরা গ্যাস ব্যবহৃত হয় আর বসুন্ধরা গ্যাসের সিলিন্ডার বাজারে না থাকায় অন্যান্য কোম্পানির গ্যাসের উপর চাপ বেড়েছে। আর এ সুযোগে অন্যান্য কোম্পানির গ্যাসের সিলিন্ডারও খুচরা বিক্রেতারা বেশি দামে বিক্রি করছেন।

বুধবার দিনব্যাপী পৌরশহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানেই বসুন্ধরা কোম্পানির গ্যাসের সিলিন্ডার নেই। আর থাকলেও নির্ধারিত দামে মিলছে না গ্যাস সিলিন্ডার।

পৌর এলাকার বাসিন্দা সামছুল হক প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, বাড়িতে বসুন্ধরা গ্যাস ব্যবহার করি। কয়েকদিন হলো গ্যাসের একটি সিলিন্ডার ফুরিয়ে গেছে। অধিকাংশ দোকানে খোঁজ নিয়ে বসুন্ধরা গ্যাসের সিলিন্ডার পাইনি। একটি দোকানে পেয়েছি, দাম চেয়েছে ২ হাজার টাকা। তাসলিমা বেগম বলেন, ১২ কেজি বসুন্ধরা সিলিন্ডার গ্যাস ১৫ দিন আগে নিয়েছি ১৮০০ টাকায় আর আজ নিয়েছি ১৯০০ টাকায়।

আবু সাদেক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবু সাদেক প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, গত দুই তিন মাস যাবত বসুন্ধরা সিলিন্ডার পাচ্ছিনা। কারণ বসুন্ধরার স্থানীয় ডিলার গভীর রাতে তার পছন্দের দোকানীকে রাতে সাপ্লাই করেন।

এ ব্যাপারে নবীনগর বসুন্ধরা কোম্পানির গ্যাসের ডিলার মো. বাছির উদ্দিন প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, বসুন্ধরা কোম্পানির গ্যাসের সিলিন্ডারের সংকট। আমাদের দশ হাজার সিলিন্ডারের চাহিদা থাকলেও কোম্পানি আমাদেরকে দুই হাজার সরবরাহ করছে। এতে করে সংকট দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত দামের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে খুচরা দোকানীর উপর দায়ভার চাপিয়ে দেন। এতে করে এলপি গ্যাসের সংকটে বড় সমস্যায় পড়েছেন নগরীর শত শত গ্রাহক।

নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, এলপি গ্যাস নিয়ে ভোক্তাদের কাছ থেকে প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box

নবীনগরে বসুন্ধরা এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১৯ শত টাকায়

আপডেট সময় : ০১:০০:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

 

হেলাল উদ্দিন নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর বাজারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপিজি) বসুন্ধরা কোম্পানির গ্যাসের বর্তমানে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে খোদ বসুন্ধরা কোম্পানিই গ্যাসের সিলিন্ডার সরবরাহ করছে না বলে জানান স্থানীয় ডিলার মেসার্স মাহাদি এন্টারপ্রাইজ। ফলে সীমিত আকারে সরবরাহ অব্যাহত থাকায় কোম্পানির কাছে খুচরা গ্রাহকরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন।

জানাযায়, উপজেলা শহরের অধিকাংশ গ্যাসের দোকানেই মিলছে না বসুন্ধরা কোম্পানির গ্যাসের সিলিন্ডার। দুই-একটি দোকানে মিললেও ১২ কেজি সিলিন্ডারের সরকার নির্ধারিত মূল্য ১১৪১ টাকা হলেও বেশ কিছু দোকানে ১৭শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করছে।

অধিকাংশ পরিবারেই বসুন্ধরা গ্যাস ব্যবহৃত হয় আর বসুন্ধরা গ্যাসের সিলিন্ডার বাজারে না থাকায় অন্যান্য কোম্পানির গ্যাসের উপর চাপ বেড়েছে। আর এ সুযোগে অন্যান্য কোম্পানির গ্যাসের সিলিন্ডারও খুচরা বিক্রেতারা বেশি দামে বিক্রি করছেন।

বুধবার দিনব্যাপী পৌরশহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানেই বসুন্ধরা কোম্পানির গ্যাসের সিলিন্ডার নেই। আর থাকলেও নির্ধারিত দামে মিলছে না গ্যাস সিলিন্ডার।

পৌর এলাকার বাসিন্দা সামছুল হক প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, বাড়িতে বসুন্ধরা গ্যাস ব্যবহার করি। কয়েকদিন হলো গ্যাসের একটি সিলিন্ডার ফুরিয়ে গেছে। অধিকাংশ দোকানে খোঁজ নিয়ে বসুন্ধরা গ্যাসের সিলিন্ডার পাইনি। একটি দোকানে পেয়েছি, দাম চেয়েছে ২ হাজার টাকা। তাসলিমা বেগম বলেন, ১২ কেজি বসুন্ধরা সিলিন্ডার গ্যাস ১৫ দিন আগে নিয়েছি ১৮০০ টাকায় আর আজ নিয়েছি ১৯০০ টাকায়।

আবু সাদেক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবু সাদেক প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, গত দুই তিন মাস যাবত বসুন্ধরা সিলিন্ডার পাচ্ছিনা। কারণ বসুন্ধরার স্থানীয় ডিলার গভীর রাতে তার পছন্দের দোকানীকে রাতে সাপ্লাই করেন।

এ ব্যাপারে নবীনগর বসুন্ধরা কোম্পানির গ্যাসের ডিলার মো. বাছির উদ্দিন প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, বসুন্ধরা কোম্পানির গ্যাসের সিলিন্ডারের সংকট। আমাদের দশ হাজার সিলিন্ডারের চাহিদা থাকলেও কোম্পানি আমাদেরকে দুই হাজার সরবরাহ করছে। এতে করে সংকট দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত দামের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে খুচরা দোকানীর উপর দায়ভার চাপিয়ে দেন। এতে করে এলপি গ্যাসের সংকটে বড় সমস্যায় পড়েছেন নগরীর শত শত গ্রাহক।

নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান প্রতিদিনের পোস্টকে বলেন, এলপি গ্যাস নিয়ে ভোক্তাদের কাছ থেকে প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box