ঢাকা ০৪:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবিতা: গ্রন্থাগারের কাজ,

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪ ৪১ বার পড়া হয়েছে

কলমে:প্রিয়াংকা নিয়োগী,
পুন্ডিবাড়ী,ভারত,
তারিখ:27.03.2021
হেলাল উদ্দিন বার্তা সম্পাদক
অনেক মানুষে জানে,
গ্রন্হাগারে কাজে তেমন কি আর আছে!
গ্রন্হাগারে বই সাজানো থাকে,
সেখান থেকে পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী,
বই দেওয়া হয়ে থাকে,
আবার ফেরত নেওয়া হয়ে থাকে,
এই “ভাবনা ও জানায়” অনেকে আছে।

তবে শোনো এবার,
গ্রন্হাগারের কাজের বাহার।
অনেক কাজ থাকে গ্রন্হাগারে,
যেমন “পদ্ধতি ও নিয়ম” অনুযায়ী
বইগুলিকে সাজানো হয়ে থাকে,
সেই সাজানোর পূর্বে বইগুলিতে,
অনেক কাজ করা হয়ে থাকে।

যেমন বইগুলি গ্রন্হাগারে আনার পর,
প্রত্যেক বইয়ে সীলমোহর করতে হয়,
বিষয় অনুযায়ী শ্রেণিবিভাগ ও
তারপর বইগুলিতে ক্রমিকসংখ্যা বসাতে হয়।
সেই সংখ্যাকে “একসেশন” বলা হয়।
আবার এই একসেশনকে
“বই রেজিস্ট্রেশন খাতায়” তুলতে হয়।
তবে পাঠ্য বই,জারনাল,পিরিয়ডিক্যালের জন্য আলাদা রেজিঃ খাতা হয় করতে।

সেই বইকে রেজিঃ খাতায় তুলতে
করতে হয় অনেক কাজ,
সেই বিষয় এখন তবে জানা যাক।
একসেশন রেজিঃ খাতায় থাকে
একসেশন নাম্বার,বইয়ের নাম,লেখকের নাম,প্রকাশকের নাম,প্রকাশের তারিখ,বিক্রেতা/দাতার নাম,মূল্য,পৃষ্ঠা সংখ্যা,ভলিয়াম,সাইজ,ছবির সংখ্যা,মানচিত্রের সংখ্যা,কল নং,বাধার পদ্ধতি ইত্যাদি,
এই হিসেবেই পূরণ করতে হয় বইয়ের তথ্যাদি।
তারপর বইতে ফেরত স্লিপ রাখতে হয়।

বইয়ের হিসেব রাখার জন্য যেমন
কাগজে-কলমে কাজ করতে হয়,
কিছু শিক্ষাকেন্দ্র নিজস্বভাবে
বই বাধাই করে নেয়।
তেমনি বর্তমানে প্রযুক্তি বিদ্যার যুগে,
গ্রন্হাগারগুলিতে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়,
আর গ্রন্হাগারের বই ও যাবতীয় হিসেব রাখার জন্য সফ্টওয়ার ব্যবহার করা হয়।

এই সফ্টওয়ার দুভাগে আছে,
কোনোটির মূল্য লাগেনা,
আবার কোনোটির মূল্য লাগে,
মূল্য লাগেনা এমন সফ্টওয়ারগুলির মধ্যে
কোহা,ডি-স্পেস,ই-গ্রন্হালয় ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য বিশেষভাবে।
সোউল ব্যবহার করা হয় ইউনিভার্সিটিতে।
এই সফ্টওয়ারগুলি নিয়ে চলে গবেষণা,
আর চলে ওয়ার্কশপ-সম্মেলনা।

আর থাকে আর.এফ.আইডির মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।
এই আর.এফ.আইডি প্রযুক্তি ব্যাবহারে,
কেউ গ্রন্হাগারে ঢুকলে ও বের হলে,
শব্দ হয় যন্ত্রের মাধ্যমে।

আর.এফ.আইডি অনুযায়ী বইয়ে,
বার কোড লাগানো হয়ে থাকে,
কেউ যদি বই ইসু না করিয়ে
গ্রন্হাগারের বাইরে যেতে চাইলে,
আর.এফ.আইডি যন্ত্র তাকে বাধা দিয়ে থাকে।

পাঠকদের জন্য করতে হয় গ্রন্হাগার কার্ড,
সেই কার্ড দিয়ে বই তুলতে হয়,
বই তোলার সময়
রিকুইজিশন ফর্ম ফিলাপ করতে হয়,
বইয়ের ফেরত স্লিপে ইসুর দিন থেকে ফেরত দেওয়ার তারিখ লিখে দেওয়া হয়,
আর বই ইসু রেজিস্টারে,
তার বিস্তারিত লিখে রাখতে হয়।
আবার বই ফেরৎ দেবার সময়,
“গ্রন্হাগার কার্ড” ফেরত দেওয়া হয়।
ফেরৎ দেওয়া বইগুলিকে আবার
বিষয় অনুযায়ী সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখতে হয়।

এইসব কাজগুলোই গ্রন্হাগারিকদের করতে হয়।
গ্রন্হাগারিকের পদ অনুযায়ী তবে,
কাজগুলো ভাগ করা থাকে।
তবে শীর্ষস্হানীয় গ্রন্হাগারিক,
থাকে শুধু পরামর্শ দেবার জন্যে।

_______________

Facebook Comments Box

কবিতা: গ্রন্থাগারের কাজ,

আপডেট সময় : ০৫:০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

কলমে:প্রিয়াংকা নিয়োগী,
পুন্ডিবাড়ী,ভারত,
তারিখ:27.03.2021
হেলাল উদ্দিন বার্তা সম্পাদক
অনেক মানুষে জানে,
গ্রন্হাগারে কাজে তেমন কি আর আছে!
গ্রন্হাগারে বই সাজানো থাকে,
সেখান থেকে পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী,
বই দেওয়া হয়ে থাকে,
আবার ফেরত নেওয়া হয়ে থাকে,
এই “ভাবনা ও জানায়” অনেকে আছে।

তবে শোনো এবার,
গ্রন্হাগারের কাজের বাহার।
অনেক কাজ থাকে গ্রন্হাগারে,
যেমন “পদ্ধতি ও নিয়ম” অনুযায়ী
বইগুলিকে সাজানো হয়ে থাকে,
সেই সাজানোর পূর্বে বইগুলিতে,
অনেক কাজ করা হয়ে থাকে।

যেমন বইগুলি গ্রন্হাগারে আনার পর,
প্রত্যেক বইয়ে সীলমোহর করতে হয়,
বিষয় অনুযায়ী শ্রেণিবিভাগ ও
তারপর বইগুলিতে ক্রমিকসংখ্যা বসাতে হয়।
সেই সংখ্যাকে “একসেশন” বলা হয়।
আবার এই একসেশনকে
“বই রেজিস্ট্রেশন খাতায়” তুলতে হয়।
তবে পাঠ্য বই,জারনাল,পিরিয়ডিক্যালের জন্য আলাদা রেজিঃ খাতা হয় করতে।

সেই বইকে রেজিঃ খাতায় তুলতে
করতে হয় অনেক কাজ,
সেই বিষয় এখন তবে জানা যাক।
একসেশন রেজিঃ খাতায় থাকে
একসেশন নাম্বার,বইয়ের নাম,লেখকের নাম,প্রকাশকের নাম,প্রকাশের তারিখ,বিক্রেতা/দাতার নাম,মূল্য,পৃষ্ঠা সংখ্যা,ভলিয়াম,সাইজ,ছবির সংখ্যা,মানচিত্রের সংখ্যা,কল নং,বাধার পদ্ধতি ইত্যাদি,
এই হিসেবেই পূরণ করতে হয় বইয়ের তথ্যাদি।
তারপর বইতে ফেরত স্লিপ রাখতে হয়।

বইয়ের হিসেব রাখার জন্য যেমন
কাগজে-কলমে কাজ করতে হয়,
কিছু শিক্ষাকেন্দ্র নিজস্বভাবে
বই বাধাই করে নেয়।
তেমনি বর্তমানে প্রযুক্তি বিদ্যার যুগে,
গ্রন্হাগারগুলিতে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়,
আর গ্রন্হাগারের বই ও যাবতীয় হিসেব রাখার জন্য সফ্টওয়ার ব্যবহার করা হয়।

এই সফ্টওয়ার দুভাগে আছে,
কোনোটির মূল্য লাগেনা,
আবার কোনোটির মূল্য লাগে,
মূল্য লাগেনা এমন সফ্টওয়ারগুলির মধ্যে
কোহা,ডি-স্পেস,ই-গ্রন্হালয় ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য বিশেষভাবে।
সোউল ব্যবহার করা হয় ইউনিভার্সিটিতে।
এই সফ্টওয়ারগুলি নিয়ে চলে গবেষণা,
আর চলে ওয়ার্কশপ-সম্মেলনা।

আর থাকে আর.এফ.আইডির মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।
এই আর.এফ.আইডি প্রযুক্তি ব্যাবহারে,
কেউ গ্রন্হাগারে ঢুকলে ও বের হলে,
শব্দ হয় যন্ত্রের মাধ্যমে।

আর.এফ.আইডি অনুযায়ী বইয়ে,
বার কোড লাগানো হয়ে থাকে,
কেউ যদি বই ইসু না করিয়ে
গ্রন্হাগারের বাইরে যেতে চাইলে,
আর.এফ.আইডি যন্ত্র তাকে বাধা দিয়ে থাকে।

পাঠকদের জন্য করতে হয় গ্রন্হাগার কার্ড,
সেই কার্ড দিয়ে বই তুলতে হয়,
বই তোলার সময়
রিকুইজিশন ফর্ম ফিলাপ করতে হয়,
বইয়ের ফেরত স্লিপে ইসুর দিন থেকে ফেরত দেওয়ার তারিখ লিখে দেওয়া হয়,
আর বই ইসু রেজিস্টারে,
তার বিস্তারিত লিখে রাখতে হয়।
আবার বই ফেরৎ দেবার সময়,
“গ্রন্হাগার কার্ড” ফেরত দেওয়া হয়।
ফেরৎ দেওয়া বইগুলিকে আবার
বিষয় অনুযায়ী সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখতে হয়।

এইসব কাজগুলোই গ্রন্হাগারিকদের করতে হয়।
গ্রন্হাগারিকের পদ অনুযায়ী তবে,
কাজগুলো ভাগ করা থাকে।
তবে শীর্ষস্হানীয় গ্রন্হাগারিক,
থাকে শুধু পরামর্শ দেবার জন্যে।

_______________

Facebook Comments Box